,

বাজেটে হতাশ সাধারণ নাগরিক, আশাবাদি ব্যবসায়ীরা

সময় ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ৯ম বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে। এবারের বাজেট নিয়ে অনেকটা ঘোর এবং হতাশার মধ্যে আছে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নœ আয়ের মানুষ। তাদের ধারণা, অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে আয় না বাড়ার পরেও ব্যয় বাড়ায় বিপাকে পরতে পারেন খেটে খাওয়া ও মধ্যবিত্তরা। আবার প্রবাসী বাঙালিরা অনেকটা মনকষ্টে ভুগছেন বাজেটে ব্যাংক আমানতে সরকারকে চার্জ দেয়া নিয়ে। পরিবার পরিজন ফেলে রেখে বছরের পর বছর প্রবাসে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করা প্রবাসীরা কিছু অংশ জমা রাখে ভবিষ্যতের জন্য। তার থেকে আবার সরকারকে ট্যাক্স দিবেন এমনটা ভাবতেও ক্ষ্ট হচ্ছে বলে জানান একাধিক প্রবাসী বাঙালি। এতে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ আরও কমতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কুয়েত প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, দেশের সবাইকে ছেড়ে বিদেশে কষ্ট করে টাকা আয় করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাই। খরচ করে যা বাচে তা থেকে কিছু গচ্ছিত রাখি। তা থেকেও যদি আবার ট্যাক্স দিতে হয় তাহলে এখন থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাবো। অভিযোগের সূরে তিনি বলেন, সরকার যদি গরিবের কথা না বুঝে তবে সরকারের কথা আমাদের ভেবে লাভ কি? আমরা গ্র“পে কর্মরত নাদিম মাহমুদ জানান, এবারে বাজেটে ট্যাক্স বৃদ্ধি করার কারণে পণ্যের দাম বাড়বে। অথচ যারা প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি করে তাদের বেতন সরকারি কর্মচারীদের মত বাড়ে না। আবার করমুক্ত আয়ের সীমাও অপরিবর্তীত রাখা হয়েছে। ফলে আয় না বাড়লেও ব্যয় বাড়ায় সংসার চালানোর জন্য নতুন করে হিসেব কসতে হবে। তবে এবারের বাজেটে অনেকটা আশাবাদি ব্যবসায়ীরা। কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকলেও বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে মনে করেন তারা। বিশেষ করে তৈরী পোষাক খাতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় এবং অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়ায় দেশের ব্যবসা খাতে আমুল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করে ব্যবসায়ীরা।


     এই বিভাগের আরো খবর